নিজস্ব প্রতিবেদক: তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের, বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্যের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশ বেশি রফতানি করে তুরস্কে। বাংলাদেশের পাট পণ্যের বড় ক্রেতা তুরস্ক, গত বছরও দুইশত মিলিয়নের বেশি মূল্যের পাট পণ্য তুরস্কে রফতানি করা হয়েছে। বাণিজ্য জটিলতার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতিমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ সরকার আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছেন বিনিয়োগকারীদের।
তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে, ফলে রপ্তানিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমস্যা চিহ্নিত করে, আলোচনার মাধমে তা সমাধান করা হলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ তুরস্কে ৪৫৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ২৩৩.৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তুরস্কের সঙ্গেও বাংলাদেশের জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন রয়েছে। এ কমিশনকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আইসিটি, ঔষধ এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করলে তুরস্ক লাভবান হবে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তুরস্ক বাংলাদেশের পাট পণ্যের এক নম্বর ক্রেতা। তৈরি পোশাকও তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে। এর ডিজাইন নিয়েও তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী। ঔষধ আমদানির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ঔষধ শিল্পের মেশিনারিজ তুরস্ক সরবরাহ করতে পারে। কিভাবে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চায় তুরস্ক। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে জয়েন্টভেঞ্চারেও কাজ করতে আগ্রহী। এন্টিডাম্পিং প্রত্যাহার এবং তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমোনোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলামসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।